সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল এ বিচার অতীতের প্রতিশোধ নয়, ভবিষ্যতের জন্য প্রতিজ্ঞা : চিফ প্রসিকিউটর দেশের ৫২টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় : খন্দকার মোশাররফ জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাজেট ২০২৫-২৬ : যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে ‘ককটেল সদৃশ’ বস্তুর বিস্ফোরণ ছাত্রদল-শিবিরের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা জুলাই গণহত্যা : ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ভারতে ভয়াবহ দুর্যোগ: প্রাণ গেল ৩০ জনের বরিশালে জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কঠোর নিরাপত্তায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২

স্বদেশ ডেস্ক:

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শুরু হয়েছে তাজিয়া মিছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ মিছিল পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সাইন্সল্যাব, জিগাতলা হয়ে ধানমন্ডি ২ নম্বরে গিয়ে শেষ হবে। এ ছাড়াও মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বকশিবাজার, লালবাগ, ফরাশগঞ্জ, পল্টন, মগবাজার থেকেও তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে।

হোসেনি দালান থেকে বের হওয়া এই তাজিয়া মিছিলের আয়োজক হোসেনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মীর জুলফিকার আলী বলেন, গত দুটি বছর করোনার কারণে তাজিয়া মিছিল ইমামবাড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এবার ইমামবাড়া থেকে মিছিলটি যাবে ধানমন্ডি পর্যন্ত।

সকাল ১০টায় হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়েছে আশুরার শোক মিছিল। মিছিলের সামনে-পেছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক উপস্থিতি দেখা গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, সুষ্ঠুভাবে তাজিয়া মিছিল সম্পন্ন করতে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন নিষিদ্ধ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সঙ্গে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ ও র‍্যাব।

হিজরি সন অনুসারে, ১০ মহররম কারবালায় বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনের শাহাদাতে দিনটি সারা বিশ্বের মুসলমানরা ত্যাগ ও শোকের দিন হিসেবে পালন করেন।

হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম (এই দিনে) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবার এবং অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। কারবালার ঘটনা স্মরণ করে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে।

শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল রয়েছে। কারবালার শোকাবহ এ ঘটনা অর্থাৎ পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সবাইকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়।

তবে কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনা ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে এই দিনে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। হযরত মুসা (আ.) ফেরাউনের জুলুম থেকে এই দিনে পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন তার অনুসারীদের নিয়ে নীল নদ পার হয়ে। তাদের পেছনে থাকা ফেরাউন সদলবলে নীল নদে ডুবে যায়। এমন অনেক তাৎপর্যময় ঘটনা ঘটেছিল এই দিনে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ